- ট্যাংরা মাছ – ৫ টা
- ঝিঙে – ১টা
- আলু – ১ টা
- কাঁচা লঙ্কা চেরা – ২-৩ টে
- জিরে – ১ টেবিল চামচ
- শুকনো লঙ্কা – ১-২ টা
- হলুদ গুঁড়ো – ১ টেবিল চামচ
- ধনেপাতা কুচি – ১ টেবিল চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
Also Read: টক মিষ্টি আমের আচার রেসিপি
Jhinge Tangra Recipe বানানোর বিধি কি কি?
ধাপ ১
প্রথমে মাছ ধুয়ে নুন, হলুদ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে রাখতে হবে।সবজি কেটে ধুয়ে একটা প্লেটে রাখতে হবে।
ধাপ ২
কড়াই বসিয়ে গরম করে মাছ ভালো করে ভেজে একটা প্লেটে তুলে রাখতে হবে।
ধাপ ৩
কড়াইতে তেল দিয়ে ফোড়ন দিতে হবে।সবজি দিয়ে হালকা করে ভেজে নিয়ে,নুন, হলুদ,কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে।
ধাপ ৪
সবজি কষানো হলে জল দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।3 মিনিট পরে ঢাকনা খুলে মাছ দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে।
ধাপ ৫
ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে একটু আলু গুলো ভেঙে দিয়ে ধনে পাতা কুচি দিয়ে গ্যাস অফ করে দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
ধাপ ৬
৫-৬ মিনিট পরে ঢাকনা খুলে একটা পাত্রে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
আমার এই Jhinge Tangra Recipe ভালো লাগেল তবে আপনার পরিবার এবং আপনার বন্ধু বান্ধবী দের সাথে নিশ্চয় শেয়ার করুন।
আজকের মতো এখানেই শেষ করলাম। আবার নতুন একটা recipe নিয়ে আসছি। ধন্যবাদ
Also Read: How to Make a Pie Chart in Google Sheets: A Step-by-Step Guide
ট্যাংরা মাছের উপকারীতা :১০০ গ্রাম ট্যাংরা মাছে ১৪৪ ক্যালরি শক্তি মিলবে। এতে প্রোটিন ১৯.২ গ্রাম, চর্বি ৬.৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭০ মিলিগ্রাম। আয়রন আছে ২ মিলিগ্রাম। রক্তশূন্যতার রোগীদের ট্যাংরা মাছ খাওয়া উচিত।
ছোট মাছ কেন খাবেন জেনে নিন : পুঁটি, ট্যাংরা, মলা, ঢেলা, কাচকি, ফলি ইত্যাদি মাছ জনপ্রিয়। এসব মাছে অসম্পৃক্ত চর্বি আছে, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ডিম ছাড়ার আগমুহূর্তে মাছে অসম্পৃক্ত বা উপকারী চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া ছোট মাছে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। আয়রন, প্রোটিন, ফসফরাস, লাইসনি ও মিথিওনিনেরও উৎস ছোট মাছ। তবে এতে আয়োডিনের পরিমাণ কম থাকে।
টেংরা মাছ কোথায় পাওয়া যায় : টেংরা মাছ বিশেষ করে নদী, ডোবা, খাল,ও জলাশয় এসব জায়গায় বেশি পাওয়া যায়।
ছোট বাচ্চাদের বুদ্ধি বিকাশে ট্যারা মাছের উপকারীতা :ছোট বাচ্চাদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ছয় মাস পর যখন বাড়তি খাবার খাওয়ানো হয়, তখন তাদেরকে টেংরা মাছ খেতে দিলে অনেক বেশি উপকার হয়।কারণ টেংরা মাছে যে ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড আছে, সেটি বাচ্চাদের চোখ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক কার্যকরী। এটির মাধ্যমে আমাদের শরীরে শক্তি সঞ্চয় হয় এবং কাজ করা উদ্দীপনা বাড়ে। এই ফ্যাট আমাদের শরীরে রক্ত পরিষ্কার করতে অনেক কাজে লাগে।
হাট ভালো রাখতে ট্যারা মাছের উপকারীতা :মুরগির মাংস বা খাসির মাংসে যে পরিমাণ কোলেস্টেরল থাকে, তার চেয়ে অনেক বেশি কোলেস্ট্রল থাকে টেংরা মাছে। তাই আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে হলে আমরা টেংরা মাছ বেশি পরিমাণে খাব।কারণ টেংরা মাছে থাকা কোলেস্ট্রল খুব সহজে দ্রবীভূত হয়ে যায়। এটি আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে অনেক বেশি উপকারী।
হার্ট ভালো রাখতে টেংরা মাছের উপকারীতা :মুরগির মাংস বা খাসির মাংসে যে পরিমাণ কোলেস্টেরল থাকে, তার চেয়ে অনেক বেশি কোলেস্ট্রল থাকে টেংরা মাছে। তাই আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে হলে আমরা টেংরা মাছ বেশি পরিমাণে খাব।
টেংরা মাছে চাষ : টেংরা চাষযোগ্য পুকুরের আয়তন হতে হবে অন্তত আট থেকে ১০ শতাংশে। এর গভীরতা হবে এক মিটার। মাছ ছাড়ার আগে পুকুরটি শুকিয়ে নিতে হবে। শুকনো পুকুরের প্রতি শতাংশে এক কেজি হারে চুন দিতে হবে। চুন দেওয়ার পাঁচ থেকে ছয় দিন পর ইউরিয়া, টিএসপি ও গোবর সার ব্যবহার করতে হবে। এরপর সূক্ষ্ম নাইলন জালের মধ্য দিয়ে পানি প্রবেশ করাতে হবে। পানি দেওয়ার চার থেকে পাঁচ দিন পর পোনা ছেড়ে দেওয়া যাবে। পুকুরের চারপাশ নেট দিয়ে ঘিরে দিতে হবে, যাতে বর্ষার পানিতে মাছ ছড়িয়ে না যায়, কিংবা অন্য কোনো মাছ চাষকৃত পুকুরে ঢুকতে না পারে।
ট্যারার প্রজনন : টেংরার প্রজননকাল এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত। প্রজনন মৌসুমের আগে সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত আট থেকে ১০ গ্রাম ওজনের টেংরা সংগ্রহ করে কৃত্রিম প্রজননের জন্য ব্রুড তৈরি করা হয়। প্রস্তুত করা পুকুরে ছেড়ে দেওয়ার আগে অবশ্যই এসব কাজ সেরে নিতে হবে। প্রজননের জন্য পুকুরের পাশে সিস্টার্ন নেটের হাপা তৈরি করে নিতে হবে।
কৃত্রিম প্রজননের কৌশল :কৃত্রিম প্রজননের আগে কোনো খালবিল বা পুকুর থেকে পরিপক্ব পুরুষ ও স্ত্রী মাছ তুলে সিমেন্টের তৈরি সিস্টার্নে অথবা ফাইবার গ্লাস ট্যাঙ্কে প্রায় এক দিন রাখতে হবে। এতমনে রাখতে হবে, এ সময় মাছগুলোকে কোনো খাবার দেওয়া যাবে না। সিস্টার্নে অক্সিজেন নিশ্চিত করতে কৃত্রিম ঝরনা ব্যবহার করতে হবে। টেংরার স্ত্রী ও পুরুষ উভয়কে পিটুইটারি গ্ল্যান্ড (পিজি) অথবা ওভাটাইড বা ওভাপ্রিম হরমোন পাখনার নিচের অংশে ইনজেক্ট করতে হবে। এ ইনজেকশন দেওয়ার পর হাপায় ১:২ অনুপাতে স্ত্রী ও পুরুষ রাখতে হবে। প্রতিটি হাপায় দুই থেকে তিনটি করে স্ত্রী মাছ রাখা যেতে পারে। প্রজননকালে আশপাশের পরিবেশ কোলাহলমুক্ত রাখতে হবে। মাছে হরমোনের ইনজেকশন সন্ধ্যায় দেওয়াই শ্রেয়। হরমোন প্রয়োগ করার আট থেকে ৯ ঘণ্টা পর হাপাতেই স্ত্রী টেংরা ডিম ছাড়ে। ডিম আঠাল অবস্থায় হাপার চারপাশে লেগে যায়। ডিম দেওয়ার পর হাপা থেকে ব্রুডগুলো সরিয়ে নিতে হবে। ডিম ছাড়ার ২০ থেকে ২২ ঘণ্টা পর ডিম ফুটে রেণু বের হয়। রেণুর ডিম্বথলি নিঃশেষিত হওয়ার পর রেণুকে খাবার দিতে হবে। হাপাতে রেণু পোনাকে এভাবে সপ্তাহব্যাপী রাখার পর চাষযোগ্য পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
টেরা চাষে সম্ভাবনা :টেংরার কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদনের মাধ্যমে মৎস্যচাষিদের জন্য নতুন দিগন্তের সূচনা করা যেতে পারে। এ খাতে নতুন কর্মসংস্থানের উদ্যোগও নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া প্রজনন ও উৎপাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আবদ্ধ জলাশয়ে এ মাছের বাণিজ্যিক চাষের দ্বার উম্মোচন করা সম্ভব। চাষাবাদ বৃদ্ধির ফলে এ মাছের যে ঘাটতি রয়েছে তা দূর করা যাবে।
টেংরা খেতে সুস্বাদু। তাই বাজারে এর মূল্য অন্য মাছের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি। এ মাছ চাষ করতে পারলে তুলনামূলকভাবে বেশি মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। ফলে হ্যাচারি ও পুকুর মালিকদের আয় বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক ভূমিকা রাখছে। শিক্ষিত বেকার যুবকরা কৃত্রিম পদ্ধতিতে টেংরা চাষ করে বেকারত্ব ঘোচাতে পারে। কৃত্রিম পদ্ধতিতে এ মাছ চাষে লোকসানের সম্ভাবনা নেই বললে চলে।
খরাপ্রবণ অঞ্চলে পুকুরে টেংরা চাষ করে
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী যদি টেংরার সঠিক পরিচর্যা করা যায়, তাহলে একেকটি এলাকা থেকে যে পরিমাণ মাছের জোগান আসবে তাতে এ দেশীয় মাছের চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ হতে পারে। এছাড়া সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে টেংরা চাষ করে যেমন কর্মসংস্থানের অভাব দূর করা যাবে, তেমনি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে একে একটি লাভজনক খাতে পরিণত করার অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিভিন্ন প্রজাতি ও বিবরণ :
টেংরা
সাধারণ টেংরার পিঠের দিক পিঙ্গল রঙের হয়। পেটের দিক সাধারণত সাদাটে হয়ে থাকে। শরীরের পাশে ও নিচে লম্বালম্বি দুটি ব্যান্ড রয়েছে। এগুলো হালকা রঙের। এটি দৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ ১৪ সেন্টিমিটার হয়
গোলসা টেংরা
পার্শ্বরেখার ওপরে গাঢ় রঙের দুটি চ্যাপ্টা ও নিচে দুটি সরু ব্যান্ড রয়েছে এ প্রজাতির। ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে গোলসা টেংরা
গুলি টেংরা
গুলি টেংরার পিঠের দিক পিঙ্গল বর্ণের। পেটের দিক ফ্যাকাশে সাদা। এর চোয়ালের স্পর্শী আংশিক কালো। দৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়
কাবাসি টেংরা
এ ধরনের টেংরার পিঠের কাঁটার গোড়ায় কালো দাগ থাকে। এটি লম্বায় ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়
বজুরি টেংরা
বজুরি টেংরার রঙ পিঙ্গল। কানের পেছনে কালো দাগ রয়েছে। এর শরীরে লম্বালম্বি কয়েকটি দাগ রয়েছে। এটি দৈর্ঘ্যে ছয় সেমি পর্যন্ত হয়।
FAQs on Jhinge Tangra Recipe
Q1. Jhinge Tangra Recipe বানাতে কি কি লাগে?
Ans.ট্যাংরা মাছ , ঝিঙে , আলু , কাঁচা লঙ্কা চেরা , জিরে , শুকনো লঙ্কা, হলুদ গুঁড়ো, ধনেপাতা কুচি , লবণ |
Q2. টেরা মাছের কিছু রেসিপির নাম কি কি?
Ans. টেংরা মাছের ঝোল, টেংরা টমেটো কারি, সরষে শাকে টেংরা মাছ, টেংরা মাছের দোপেঁয়াজা, টেংরা মাছের ভর্তা, রসুন টেংরা, বেগুন টেংরার চচ্চরি, ডালের বড়ি দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল, টেংরা মাছের দই ঝোল|