করলা আলু ঝোল রেসিপি | Karela Aloo Jhol Recipe in Bengali

Karela Aloo Jhol Recipe :নমস্কার বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আপনাদের সবাইকে আমার patukrecipe.com  এ স্বাগত জানাই। আজ আমি নতুন একটা  Recipe নিয়ে এলাম।  খুব সহজ পদ্ধতিতে খুব কম সময়ে ঘরে এই  Recipe বানানো যায়  সেটা আমি আপনাদেরকে বলবো | আজকে আপনাদের জন্য থাকলো সুস্বাদু karela Aloo Jhol Recipe

karela Aloo Jhol Recipe in Bengali 

Karela Aloo Jhul Recipe বানাতে কি কি উপকরণ লাগে?

উপকরণ

  • করলা- ২ টি
  • আলু- ২ টি
  • চিংড়ি মাছ-
  • পিয়াজ  কুচি- ১ টেবিল চামচ
  • রসুন কুচি- ১ চা চামচ
  • আস্ত জিরা- আধা চা চামচ
  • মরিচ গুঁড়ো- ১ চা চামচ
  • হলুদ গুঁড়ো- আধা চা চামচ
  • লবণ- স্বাদমতো
  • তেল- পরিমাণ মতো

Also Read: টক মিষ্টি আমের আচার রেসিপি

Karela Aloo Jhul Recipe বানানোর বিধি কি কি?

ধাপ ১

প্রথমে করলাগুলোকে দেড়-দুই ইঞ্চি লম্বা  লম্বা টুকরো করে কিংবা আধা-এক ইঞ্চি গোল চাক করে কেটে নিন।

ধাপ ২

এবারে পাত্রে পানি দিয়ে তাতে আধা  চা চামচ লবণ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। পানি ফুটে উঠলে কেটে রাখা করলা দিয়ে ৪-৫ মিনিট সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিয়ে করলার বীজ ও বীজের সাথের নরম অংশ ফেলে দিন।এভাবে সেদ্ধ করে করলার তিতাভাব চলে যাবে।

ধাপ ৩

পাত্রে তেল গরম করে আস্ত জিরা দিন। চাইলে কালোজিরাও দিতে পারেন। জিরা ফুটে উঠলে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে ভাজুন। পেঁয়াজ-রসুন নরম হয়ে আসলে হলুদ ও মরিচ গুঁড়ো দিয়ে পরিমাণমতো পানি যোগ করে মসলা কষিয়ে নিন।

ধাপ ৪

মসলা তেল ছেড়ে দিলে চিংড়ি মাছ দিয়ে কষিয়ে নিয়ে করলা, আলু যোগ করুন।স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভালমতো কষিয়ে নিন। কষানো হলে পরিমাণ মতো পানি যোগে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। ঝোল কমে এলে চুলা বন্ধ করে দিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

আমার এই  karela Aloo Jhol Recipe  ভালো লাগে তবে আপনার পরিবার এবং আপনার বন্ধু বান্ধবী দের সাথে নিশ্চয় শেয়ার করুন।

Also Read: How to Make a Pie Chart in Google Sheets: A Step-by-Step Guide

করলার উপকারিতা কি কি :করলা শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। করলায় রয়েছে রক্তে চিনি কমানোর উপাদান। ডায়াবেটিস রোগীরা রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত করলা খেতে পারেন। পনির সঙ্গে মধু ও করলার রস মিশিয়ে খেলে অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, শ্বাসরোগ ও গলার প্রদাহে উপকার পাওয়া যায়।

করলার অপকারিতা কি কি :গর্ভবতী মহিলার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যধিক পরিমাণে তিতা করলা খেলে মাসিকের প্রবাহ বৃদ্ধি এবং গর্ভনিরোধক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। খিচুনিতে আক্রান্ত হতে পারে এবং এইভাবে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায় ।। ২। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য তিতা করলা খুবই উপকারী এবং উচ্চ রক্ত ​​শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

করলার জুসের উপকারিতা কি কি :ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করলার জুস খুবই উপকারী। উপমহাদেশ ও চীনের গ্রামাঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসের ওষুধ হিসেবে করলার রস পান করে আসছেন। এছাড়া বাত রোগে, লিভার ও শরীরের কোনো অংশ ফুলে গেলে তা থেকে পরিত্রাণ পেতে করলা ভালো পথ্য। নিয়মিত করলা খেলে জ্বর, হাম ও বসন্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

করলা কি ভাবে উৎপাদন করা হয় :নিজস্ব বাড়িতে করলার চাষ করতে হলে দু’চারটি মাদায় বীজ বুনে গাছ বেয়ে উঠতে পারে এমন ব্যবস্থা করলেই হয়। তবে বাণিজ্যিক ভাবে চাষের জন্য প্রথমে সম্পূর্ণ জমি ৪-৫ বার চাষ ও মই দিয়ে প্রস্তুত করে নিতে হয় যাতে শিকড় সহজেই ছড়াতে পারে। জমি বড় হলে নিদিষ্ট দূরত্বে নালা কেটে লম্বায় কয়েক ভাগে ভাগ করে নিতে হয়।

করলা চাষের সময় : করলা চাষ করতে চাইলে জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে বীজ বুনতে হবে। করলার বীজ মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বোনা যেতে পারে। প্রতি মাদায় দু’টি করে বীজ বুনতে হবে।

করলা চাষে সার প্রয়োগ :চারা রোপণের ১০-১৫ দিন পর ১ম বার ২০০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ২০০ গ্রাম পটাশ (মাদা প্রতি ১৫ গ্রাম), ৩০-৩৫ দিন পর ২য় বার, ৫০-৫৫ দিন পর ৩য় বার ২০০ গ্রাম করে ইউরিয়া (মাদা প্রতি ১৫ গ্রাম) প্রয়োগ করতে হবে। চারা রোপণের ৭০-৭৫ দিন পর ১০০ গ্রাম ইউরিয়া (মাদা প্রতি ১৫ গ্রাম) প্রয়োগ করতে হবে।

করলার জুস কিভাবে তৈরি করা হয় :কয়েকটি করলা নিয়ে টুকরো করে কেটে নিন অতপর বিচিগুলো ফেলে দিন এবার করলার টুকরা গুলো ব্লেন্ডারে, পরিমান মত লবণ ও জল দিয়ে ব্লেন্ড করুন এখন ছাকনি দিয়ে ছেকে নিন, হয়ে গেল মহাতিতা করলার জুস।

তিতা কমানোর জন্য – তিতা কমাতে ও পুষ্টিগুণ আরো বাড়াতে এক চামচ মধু মেশাতে পারে।

অতিরিক্ত করলা খেলে কি হয় :করলার রস অতিরিক্ত সেবনে পেটব্যথা, ডায়রিয়া হতে পারে।ডায়াবিটিস রোগী এবং যে কোনও ওষুধ সেবনকারীরা করলার রস বা উচ্ছে খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।আয়ুর্বেদ অনুসারে, করলার রস অতিরিক্ত সেবনে শুক্রাণুর গুণমান হ্রাস পায়। গর্ভবতী মহিলা এবং হৃদরোগীদের করলার রস খাওয়ার আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
তেতো করলা কারা খেতে পারবে না :লিভার এবং কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি : তেতো তরমুজে থাকা ফাইবার এটি হজম করা কঠিন করে, এছাড়াও ফুসফুসের কারণ হতে পারে, তাই লিভার এবং কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এই ফল খাওয়া এড়ানো উচিত।
শীতকালে করলার চাষ :শীত কালে গাছের বৃদ্ধির হার কমে আসে। ভালো ফলন পেতে হলে সারাদিন রোদ পায় এবং পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা আছে এমন স্থানে করলার চাষ করা উচিত। সব রকম মাটিতেই করলার চাষ করা যেতে পারে, তবে জৈব সার সমৃদ্ধ দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে ভালো জন্মে।
উন্নত জাতের করলা :করলার আছে বেশ কয়েকটি হাইব্রিড জাত। যেমন : বুলবুলি, টিয়া, প্যারট, কাকলি, তাজ-৮৮, গ্রিনস্টার, গৌরব, প্রাইড-১, প্রাইড-২, গ্রিন রকেট, হীরক, মানিক, জয়, রাজা, প্রাচী ইত্যাদি। জীবন কাল: মোট জীবনকাল প্রায় চার থেকে সারে চার মাস। তবে জাত ও আবহাওয়াভেদে কোন কোন সময় কম বেশী হতে পারে।
তেল ছাড়া করলা ভাজা কি ভাবে করতে হয় জানুন :প্রথমে আমি কেরেলাকে ভালোভাবে জল দিয়ে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিয়েছি । এবার কড়াইতে আমি জল দিয়ে দিলাম জল গরম হওয়ার পর কেটে রাখা কেরালা গুলো দিয়ে দিলাম । জল একটু ফুটিয়ে আসার পর তাতে স্বাদ মতন লবণ এবং হলুদ পাউডার আর কাঁচালঙ্কা কেটে দিয়ে দিলাম।

এবারে আমি ঢাকনা দিয়ে বন্ধ করে আচ বাড়িয়ে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিলাম  । ১০ মিনিট পর আচ কম করে ঢাকনাটা খুলে দিলাম এবং খুন্তি দিয়ে খুব ভালোভাবে চার পাঁচ মিনিট সময় পর্যন্ত নাড়তে লাগলাম  , নাড়তে নাড়তে দেখবেন কেরালার রংটা একটু কালো কালো হয়ে গেল তার মানে আমাদের তেল ছাড়া কেরেলা ভাজা একদম খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে গেল । এ বারে গরম গরম বাতের সাথে পরিবেশন করুন এবং নিজেও খান।

তেল ছাড়া karela সবজি বানাতে কি কি লাগে :তেল ছাড়া karela sobji সবজি বানাতে প্রথমত Kerala, গরম জল, লবণ, হলুদ পাউডার

তেল ছাড়া  karela  সবজি বানাতে কত সময় লাগে :তেল ছাড়া karela sobji বানাতে বিশ মিনিট সময় লাগে |

কোথায় করলার চাষ ভালো হয় :মাটি প্রায় সব রকমের মাটিতে ও জল জমে না এমন জায়গায় উচ্ছে-করলার চাষ করা যায়। তবে জৈব পদার্থসমৃদ্ধ দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে ভালো হয়। ছায়া জায়গায় ভালো হয় না।

হাইব্রীড করলার চাষ :হাইব্রীড ছোট করলা গ্লোরী (উচ্ছে) ৪৫-৫০ দিনের মধ্যে ফলন সংগ্রহ করা যায়। গ্লোরী উচ্চমাত্রায় ভাইরাস এবং ডাউনি মিলডিউ সহনশীল জাত। অন্য যে কোনও জাতের তুলনায় গ্লোরী করলার ফলন ২০% বেশি।

করলা মাখা কিভাবে করতে হয় : প্রথমে উচছে আলু সিদ্ধ করতে হবে । তারপর তেল,নুন,লঙ্কা পেসট দিয়ে মাখতে হবে । এবারে মাখা হলে মন্ড বানিয়ে পরিবেশন করুন।

সহজ পদ্ধতির করলা ফ্রাই :করলার টুকরা একটি একটি করে গোলায় ডুবিয়ে শ্যাল ফ্রাই করে নিন । গরম ভাতের সাথে দারুন লাগে । সাথে একটু ঘি ভাতে মেখে নিতে পারেন ।

করলার ঝাল রেসিপি কি ভাবে বানাবে :প্রথমে করলাকে পাতলা করে কেটে জল দিয়ে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন।এবারে কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ, রসুন এবং জিরা দিয়ে ভাজুন। হাফ চা চামচ কম লবন দিন । চিংড়ি গুলো ও কাঁচা মরিচ ফালি দিন (ঝাল বুঝে) এবং ভাল করে মিশিয়ে আবারো ভাজুন। আগুন মাধ্যম আচে থাকবে।চিংড়ি গুলো ও কাঁচা মরিচ ফালি দিন (ঝাল বুঝে) এবং ভাল করে মিশিয়ে আবারো ভাজুন। আগুন মাধ্যম আচে থাকবে।চিংড়ি গুলো ও কাঁচা মরিচ ফালি দিন (ঝাল বুঝে) এবং ভাল করে মিশিয়ে আবারো ভাজুন। আগুন মাধ্যম আচে থাকবে।চিংড়ি গুলো ও কাঁচা মরিচ ফালি দিন (ঝাল বুঝে) এবং ভাল করে মিশিয়ে আবারো ভাজুন। আগুন মাধ্যম আচে থাকবে।চুলা বন্ধ করার আগে দুটো বিষয় দেখুন। ১) করলা নরম হল কি না ২) লবন সঠিক হল কি না (লাগলে দিন)।ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।

করলা চাষের প্রথম ধাপ :বীজ পোতার এক সপ্তাহ আগে মাটি রেডি করে রাখবে হবে। যে টবে বা ড্রামে করলা গাছ লাগাবেন তাতে মাটি, গোবর সার আর জল দিয়ে ভালো করে মিক্সচার বানিয়ে রাখুন। এক সপ্তাহ পর মাটি ঝরঝরে হয়ে যাবে। হয়ে গেলে মাটি ওলট পালট করে দিন। এবার তাতে করলার বীজ পুতে উপর থেকে মাটি দিয়ে ঢাকুন। মাটি চাপা দিয়ে হাত দিয়ে তা সমান্তরাল করে দিন। বীজ পোঁতা হয়ে গেলে উপর থেকে জল দিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন মাটি জাস্ট ভেজানোর মত করে জল দিতে হবে। বেশি জল দিলে বীজ নষ্ট হয়ে যাবে।

করলা চাষের ২ য় ধাপ :বীজ বপনের পর রোজ অল্প অল্প করে জল দিয়ে যাবেন। জল দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন জল যেন জমে না যায়। তাহলে গাছ হবে না। সামান্য পরিমান জল রোজ সকাল বিকেল দিতে থাকুন। করলার চারা গজাতে ২০ থেকে ২৫ দিন মত সময় লাগে। চারা গাছ জন্মালে জৈবসার সপ্তাহে একবার করে দিন। টবের মধ্যে অন্য কোন আগাছা জন্মালে তা তুলে ফেলে দিন। রোজ অল্প অল্প জল দিন।

করলা চাষের শেষ ধাপ :চারা গাছ জন্মানোর ৪০ দিন পর থেকে এতে ফুল আসতে শুরু করবে। এই সময় টবে একটা লাঠি দিয়ে দেবেন। বা এমন জায়গায় টব রাখবেন যেন গাছ একটা সাপোর্ট পায়। করলা গাছ লতানো উদ্ভিদ তাই মাচা করে দিলে তা বেয়ে গাছ ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলন ভালো হয়।

করলা দিয়ে কি কি রেসিপি বানানো যায় :(১) আলু করলা ভাজা (২) কেরেলার জুস (৩) কেরেলার ঝাল রেসিপি (৪) করলা ও টমেটো তরকারী (৫) করলা মাখা (৬)  চিংড়ি মাছ দিয়ে করলা (৭) পুর ভরা করলা রেসিপি (৮) পোয়া মাছ দিয়ে করলা চচ্চড়ি (৯) বাটা চিংড়ি দিয়ে করলা ভাজা ইত্যাদি ইত্যাদি।

করলা পাতার উপকারীতা :

করলার পাতার রস খেলে জ্বর সেরে যায়। শরীর থেকে কৃমি দূর করতেও করলা কাজ করে। শরীর কামড়ানি, জল পিপাসা বেড়ে যাওয়া, বমিভাব হওয়া থেকে মুক্তি পেতে উচ্ছে বা করলার পাতার রস উপকারী। এক চা চামচ করলা পাতর রস একটু গরম করে অথবা গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার করে খেলে উপকার পাওয়া যায় ।

Aloo karela Bhaja Recipe ঘরে বানাতে কি কি উপকরণ লাগবে :করলা , নুন, হলুদ গুঁড়ো , সর্ষের তেল  , কাঁচা লঙ্কা , আলু।

FAQs on karela Aloo Jhol Recipe

Q1. karela Aloo Jhol Recipe বানাতে  কি কি লাগে?

Ans.করলা, আলু, চিংড়ি মাছ, পিয়াজ  কুচি, রসুন কুচি, আস্ত জিরা, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, লবণ, তেল |

Share To:

Leave a Comment