Begun ChorChori Recipe : নমস্কার বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আপনাদের সবাইকে আমার patukrecipe.com এ স্বাগত জানাই। আজ আমি নতুন একটা Recipe নিয়ে এলাম। খুব সহজ পদ্ধতিতে খুব কম সময়ে ঘরে এই Recipe বানানো যায় সেটা আমি আপনাদেরকে বলবো | আজকে আপনাদের জন্য থাকলো সুস্বাদু এই Begun ChorChori Recipe |
Begun ChorChori Recipe বানাতে কি কি লাগে?
উপকরণ
- বেগুন – ২ টা
- আলু – ২ টা
- কাঁচালঙ্কা – ৩-৪ টে ( ঝাল নিজের পছন্দ অনুযায়ী)
- টমেটো – ১ টা
- লবণ – স্বাদমতো
- হলুদ – ১ টেবিল চামচ
- সাদা সর্ষে -২ চা চামচ
- কালো সর্ষে – ২ চা চামচ
- পোস্ত -২ চা চামচ
- গোটা সর্ষে – ১ চা চামচ
- শুকনো লঙ্কা – ১-২ টা
- বড়ি – ৬-৭ টা
- সর্ষের তেল – প্রয়োজন Jldi
Also Read: টক মিষ্টি আমের আচার রেসিপি
Begun ChorChori Recipe বানানোর বিধি কি?
ধাপ- ১
প্রথমে সব সবজি ভালো করে ধুয়ে কুচি করে কেটে নিতে হবে এবার সব সর্ষে পোস্ত কাচালঙ্কা বেটে নিতে হবে
ধাপ- ২
এবার পেসার কুকারে বেগুন বাদে সব সবজি সেদ্ধ করে নিতে হবে একটা সিটি দিয়ে
ধাপ -৩
এবার কড়াই অল্প তেল দিয়ে বড়ি ভেজে তুলে নিতে হবে ঐতেলে র তেল দিয়ে সর্ষে ফরন দিয়ে টমেটো কুচি দিয়ে বেটে রাখা সর্ষে পোস্ত দিয়ে নুন হলুদ চিনি দিয়ে সব সেদ্ধ করা সবজি ভেজে রাখা বেগুন দিয়ে ভালো করে নারাচারা করে অল্প জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে ফুটতে দিতে হবে।
ধাপ- ৪
৫ মিনিট পর ভেজে রাখা বড়ি দিয়ে সব কিছু ভালো করে নারাচারা করে মাখা মাখা হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে কিছুক্ষণ ঢাকা রেখে অন্য পাএে ঢেলে উপর থেকে আর একটু বড়ি ছরিয়ে দিয়ে পরিবেসন করা যাবে গরম ভাতের সাথে |
আমার এই Beguner ChorChori Recipe ভালো লাগে তবে আপনার পরিবার এবং আপনার বন্ধু বান্ধবী দের সাথে নিশ্চয় শেয়ার করুন।
আজকের মতো এখানেই শেষ করলাম। আবার নতুন একটা recipe নিয়ে আসছি। ধন্যবাদ
Also Read: How to Make a Pie Chart in Google Sheets: A Step-by-Step Guide
FAQs on Beguner ChorChori Recipe
Q1. Beguner ChorChori Recipe বানাতে কি কি লাগে?
Ans.বেগুন , আলু , কাঁচালঙ্কা , টমেটো , লবণ , হলুদ , সাদা সর্ষে , কালো সর্ষে , পোস্ত , গোটা সর্ষে , শুকনো লঙ্কা , বড়ি , সর্ষের তেল |
দিন পর চারা তুলে দ্বিতীয় বীজতলায় রোপণ করতে হয়। এতে চারা স্বাস্থ্যবান হয়। অতিরিক্ত পানিতে বীজ নষ্ট হয়ে যায়।
Q2. বেগুনের বীজতলা কিভাবে তৈরী হয়?
Ans.বেগুনের চাষাবাদ প্রধানত পলি মাটিতে বেশি হয়। বেগুন চাষের জন্য প্রথমে বীজতলায় চারা তৈরি করে মূল জমিতে রোপণ করতে হয়। বীজতলা তৈরির সময় কয়েকটি বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন-
- বীজতলায় যেন পানি না জমে।
- ঐ স্থানে সব সময় আলো-বাতাস থাকে।
- বীজতলার কাছাকাছি সেচের ব্যবস্থা থাকলে ভালো।
- রোগমুক্ত সবল চারা পেতে হলে বীজতলার মাটি শোধন করে নিতে হবে।
Q3. বেগুন গাছের সার কি ভাবে প্রয়োগ করা হয়?
Ans. গুণগত মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে হলে বেগুন চাষের জমিতে যতটুকু সম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরন অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ ও পরিবেশ উভয়ই ভালো থাকবে। বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে সেখান থেকে গোবর সংগ্রহ করা যাবে। নিজের গবাদি পশু না থাকলে পাড়া-প্রতিবেশী যারা গবাদি পশু পালন করে তাদের কাছ থেকে গোবর সংগ্রহ করা যেতে পারে। এছাড়া ভালো ফলন পেতে হলে জমিতে আবর্জনা পচা সার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়ির আশেপাশে গর্ত করে সেখানে আবর্জনা, ঝরা পাতা ইত্যাদি স্তূপ করে রেখে পচা সার তৈরি করা সম্ভব।
Q4. বেগুন চাষের সময় ও পরিচর্যা কিভাবে করতে হয়?
Ans.গাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য মাঝে মাঝে গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হবে।
জমিতে আগাছা দেখা দিলে মাঝে মাঝে তা পরিষ্কার করতে হবে।
খরকুটো অথবা শুকনো কচুরিপানা দিয়ে মাটি ঢেকে দিলে মাটিতে রস অনেক দিন থাকবে।
বয়স্ক গাছে ফল উৎপাদন কমে গেলে গাছের প্রধান কাণ্ড গোড়ার দিকে ২০ সে.মি. গাছের বাকি অংশ কেটে দিতে হবে।
এরপর সার ও সেচ দিলে কাণ্ডের কেটে দেওয়া জায়গা থেকে দ্রুত শাখা-প্রশাখা বেরিয়ে ফল দেওয়া শুরু করবে।
Q5. বেগুন সংগ্রহ করার সঠিক সময় কি?
Ans. খাওয়ার উপযোগী বেগুন ক্ষেত থেকে তোলার সময় সাবধানে সংগ্রহ করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে গাছের গায়ে যেন আঘাত না লাগে বা ক্ষত সৃষ্টি না হয়। গাছ থেকে তোলা বেগুন কাঁচা পাতা অথবা খড়ের উপর রাখতে হবে যেন বেগুনে আঘাত না লাগে; এটা অতি প্রয়োজনীয়।
Q6. বেগুন উৎপাদিত ফসলের পরিমাণ কি ভাবে বুঝা যায়?
Ans. এক বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করলে গড়ে প্রায় ১০০-১২০ মণ বেগুন পাওয়া যায়।
Q7. বেগুনের খোসা কি ভালো?
Ans. বেগুনের গাঢ় বেগুনি ত্বকে নাসুনিন রয়েছে, একটি অনন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন কোষের ঝিল্লি সংরক্ষণ এবং রক্ষা করতে পারে । প্রাথমিক গবেষণাগুলি দেখায় যে এটি ঝিল্লির চর্বিকে রক্ষা করতে পারে, যা ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেল থেকে কোষগুলিকে রক্ষা করার জন্য দায়ী|
Q8. বেগুন গাছের পোকা দমনের উপায় কি?
Ans. প্রতি ১৫ দিন পর পর উপকারী পোকা, ট্রাইকোগ্রামা কাইলোনিজ ও ব্রাকন হেবিটর পর্যায়ক্রমিকভাবে মুক্তায়িত করতে হবে। আইপিএম পদ্ধতির এলাকাভিত্তিক প্রয়োগ করতে হবে।
শীতকালে সপ্তাহে অন্তত একবার পোকা আক্রান্ত ডগা ও ফল বাছাই করে বিনষ্ট করতে হবে। চারা লাগানোর ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যেই জমিতে ফেরোমন ফাঁদ পাততে হবে। প্রতি সপ্তাহে একবার করে উপকারী পোকা, ট্রাইকোগ্রামা কাইলোনিজ ও ব্রাকন হেবিটর পর্যায়ক্রমিকভাবে মুক্তায়িত করতে হবে। আইপিএম পদ্ধতির এলাকাভিত্তিক প্রয়োগ করতে হবে। এতে করে এই পোকা দমন করা যাবে।
Q9. বেগুনের ইংরেজি নাম কি ?
Ans. বেগুন কে আমরা ইংরেজিতে Brinjal নামে চিনে থাকি। কিন্তু জানেন কি, বেগুনের আরো ইংরেজী অনেক নাম রয়েছে। সেগুলি হলো Eggplant, Aubergine |
Q10. বেগুনের জমি তৈরী ও চারা রোপণ কিভাবে হয়?
Ans.বেগুন বেশ কয়েক মাস ধরে মাঠে থাকে। তাই ভালো ফলন পেতে জমি ভালোভাবে তৈরি করতে হবে।
সাধারণত মাঠের জমি তৈরির জন্য ৪-৫ বার চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে।
৩৫-৪৫ দিন বয়সের চারা রোপণের উপযোগী হয়। এ সময়ে চারাতে ৫-৬ টি পাতা গজায় এবং চারা প্রায় ১৫ সে.মি. লম্বা হয়।
চারা তোলার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন শেকড় নষ্ট না হয়।
চারা তোলার ১-২ ঘণ্টা আগে বীজতলায় পানি দিয়ে মাটি ভিজিয়ে নিলে শেকড় নষ্ট হয় না।
বীজতলায় চারা তৈরি করে ৫-৬ সপ্তাহ বয়সের চারা ৭৫ সে.মি. দূরত্বে সারি করে ৬০ সে.মি. দূরে দূরে লাগাতে হয়। বেগুনের জাতের গাছের আকার অনুয়ায়ী এ দূরত্ব ১০-১৫ সে.মি. কম-বেশি করা যেতে পারে।
১মিটার আকারের বীজতলায় প্রায় ৮-১০ গ্রাম বীজ বপন করতে হয়। চারার বয়স ৩৫-৪০ দিন হলে মূল জমিতে রোপণ করতে হয়।
Q11. বিটি বেগুন কি?
Ans. বিটি বেগুন হল ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা প্রতিরোধী বেগুন যা বংশানু প্রকৌশলের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। সারা বিশ্বে বেগুন এগপ্লান্ট (eggplant) বা অবারজিন (aubergine) নামে পরিচিত।
Q12. বেগুন কি?
Ans. বেগুন এক প্রকারের সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনেকের ধারণা এই উদ্ভিদের প্রজাতিগুলির উদ্ভব ভারতে হয়েছিল, যেখানে এটির ব্যপক বৃদ্ধি হতে থাকে। আবার অনেকের মতে এর বৃদ্ধি আফ্রিকাতেও হতে পারে।
Q13. বেগুন গাছে কি কি রোগ হয়?
Ans. ফিউজিয়াম ছত্রাক দ্বারা বেগুনের ঢলে পড়া রোগ হয়। গাছের গোড়া ও শেকড় বিবর্ণ হয়ে যায়। এ রোগ হলে পাতা নেতিয়ে পড়ে ও গাছ ঢলে পড়ে। পরবর্তীতে গাছ মারা যায়।
Q14. Beguner Halwa Recipe বানাতে কি কি লাগে?
Ans.বেগুন , ঘি , চিনি , দুধের সর , কাজু , ছোট এলাচ , গুঁড়ো দুধ , খাবার রং , সাদা তেল |
Q15. বেগুন ভাজতে হলে কি কি খেয়াল করা উচিত?
Ans. বেগুন প্রচুর তেল টানে। ফলে অনেক সময় বারবার তেল দিতে হয়। এক্ষেত্রে যেটি করতে পারেন, প্রথমে তেলে বেগুনটি দেয়ার ১০ সেকেন্ড পরেই সেটি উল্টিয়ে দিন। তারপর আবার উল্টিয়ে দিন। এভাবে তিন-চারপর উল্টিয়ে দেয়ার পর মধ্যম আঁচে রেখে বেগুনটি সিদ্ধ হওয়ার জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। একপাশ ভাজা হওয়ার পর এভাবে আরেকপাশ ভেজে নিন।
Q16. বেগুন ভাজা মুচমুচে করার জন্য কি করনীয়?
Ans. বেগুন ভাজার আগে বেগুন গুলি কে নুন হলুদের সাথে অল্প চিনি দিয়ে মেখে রাখলে ভাজা বেশ মুচমুচে হয়।
Q17. হাইব্রিড বেগুন চাষ কি ভাবে করতে হয়?
Ans. বেগুন চাষের জন্য প্রথমে বীজতলায় চারা করে তা মূল জমিতে রোপণ করতে হয়। বীজতলা এমন স্থানে তৈরী করতে হবে যেখানে বৃষ্টির পানি দাঁড়াবে না অর্থাৎ সুনিষ্কাশিত হতে হবে, সর্বদা আলো-বাতাস পায় অর্থাৎ ছায়ামুক্ত হতে হবে। বীজতলা তৈরির জন্য মাটি গভীরভাবে (অন্তত ২০ সেন্টিমিটার) চাষ দিতে হবে। বীজতলায় মাটি হতে হবে উর্বর।
Q18. বেগুন চাষের সতর্কতা কি কি?
Ans. সতর্কতাঃ বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যবহারের আগে বোতল বা প্যাকেটের গায়ের লেবেল ভালো করে পড়ুন এবং নির্দেশাবলি মেনে চলুন। ব্যবহারের সময় নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করুন।ব্যবহারের সময় ধূমপান এবং পানাহার করা যাবে না। বালাইনাশক ছিটানো জমির পানি যাতে মুক্ত জলাশয়ে না মেশে তা লক্ষ্য রাখুন। বালাইনাশক প্রয়োগ করা জমির ফসল কমপক্ষে সাত থেকে ১৫ দিন পর বাজারজাত করুন।
Q19. আলু, মুলো ও বেগুনের চচ্চড়ি বানাতে কি কি লাগে?
Ans.মুলো , আলু , বেগুন ,ধনে পাতা, কাঁচা লঙ্কা , পাঁচ ফোড়ন , হলুদ , গোটা শুকনো লঙ্কা , নূন , চিনি , সর্ষের তেল ।