ফুলকপির পাকোড়া রেসিপি | Fulkopir Pakora Recipe in Bengali

Fulkopir Pakora Recipe :নমস্কার বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আপনাদের সবাইকে আমার patukrecipe.com  এ স্বাগত জানাই। আজ আমি নতুন একটা  Recipe নিয়ে এলাম।  খুব সহজ পদ্ধতিতে খুব কম সময়ে ঘরে এই  Recipe বানানো যায়  সেটা আমি আপনাদেরকে বলবো | আজকে আপনাদের জন্য থাকলো সুস্বাদু Fulkopir Pakora Recipe।

Fulkopir Pakora Recipe

Fulkopir Pakora Recipe বানাতে কি কি লাগে?

উপকরণ

  • ফুলকপি
  • বেসন – ১/২কাপ
  • চাট মসলা – ১/২ চা চামচ
  •  স্বাদ মত নুন ও চিনি
  • তেল – পরিমাণ মতো

Also Read: টক মিষ্টি আমের আচার রেসিপি

Fulkopir Pakora Recipe বানানোর বিধি কি কি?

ধাপ ১

প্রথমে ফুলকপি টুকরো টুকরো করে কেটে নিন এবং ভাপিয়ে নিন। 

ধাপ ২

এবারে বেসন ও সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন ব্যাটার তৈরি করে নিন। 

ধাপ ৩

ফুলকপি ডুবিয়ে তুলে ভেজে তুলে রাখুন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন। 

আমার এই  Fulkopir Pakora Recipe  ভালো লাগে তবে আপনার পরিবার এবং আপনার বন্ধু বান্ধবী দের সাথে নিশ্চয় শেয়ার করুন।

Also Read: How to Make a Pie Chart in Google Sheets: A Step-by-Step Guide

ফুলকপির উপকারিতা :ওজন কমাতে: গবেষণায় দেখা গেছে, ফুলকপি মস্তিষ্ক ভালো রাখে, ওজন কমায় এবং সর্দি-কাশিসহ নানা রোগ প্রতিরোধ করে। ৩. হাড় ও দাঁত শক্ত করে: ফুলকপিতে রয়েছে দাঁত ও মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লোরাইড। এর ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে।

ফুলকপির ১০ টা গুন : (১)কোলস্টেরল কমায়: এতে প্রচুর ফাইবার আছে, যা শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

২. ওজন কমাতে: গবেষণায় দেখা গেছে, ফুলকপি মস্তিষ্ক ভালো রাখে, ওজন কমায় এবং সর্দি-কাশিসহ নানা রোগ প্রতিরোধ করে।

৩. হাড় ও দাঁত শক্ত করে: ফুলকপিতে রয়েছে দাঁত ও মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লোরাইড। এর ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে।

ক্যানসার প্রতিরোধ করে: মারাত্মক ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে ফুলকপি। এতে আছে সালফোরাপেন, যা ক্যানসার কোষকে মেরে টিউমার বাড়তে দেয় না। স্তন ক্যানসার, কোলন ও মূত্রথলির ক্যানসারের জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষমতাও আছে ফুলকপির।

৫. হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য উপকারী: ফুলকপি হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য ভালো। এতে যে সালফোরাপেন আছে, তা হৃদ্‌রোগের বিরুদ্ধে লড়তে পারে।

রোগ প্রতিরোধ করে: ফুলকপিতে আছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘কে’, যা এ সময়ের সর্দি, ঠান্ডা, কাশি জ্বর ভাব, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গা-ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ফুলকপির আরও সব প্রয়োজনীয় উপাদান রোগ প্রতিরোধেও অংশ নেয়।

৭. শক্তি জোগায়: এই সবজিতে আছে প্রচুর আয়রন। রক্ত তৈরিতে আয়রন রাখে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। গর্ভবতী মা ও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা মানুষের জন্য ফুলকপি অত্যন্ত জরুরি।

৮. চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী: কম ক্যালরিযুক্ত ও উচ্চমাত্রার আঁশসমৃদ্ধ ফুলকপি চুল ভালো রাখে। ত্বকের সংক্রমণও প্রতিরোধ করে।

৯. পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখে: ফুলকপি পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।

১০. দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: চোখের যত্নে ফুলকপির কোনো তুলনা হয় না। ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। চোখ সুস্থ রাখতে বেশি করে ফুলকপি খাওয়া উচিত।

ফুলকপি বেশি খেলে কি হয় :ফুলকপিতে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে। এছাড়াও এতে শরীরের জন্য উপকারী ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, পটাসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায়। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে : ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন-বি মস্তিষ্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ফুলকপিতে কি কি ভিটামিন আছে :
ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’, ‘কে’, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক। একটি মাঝারি আকারের ফুলকপিতে রয়েছে শক্তি-২৫ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট-৪.৯৭ গ্রাম , প্রোটিন-১.৯২ গ্রাম , ফ্যাট-০.২৮ , আঁশ-২ গ্রাম, ফোলেট-০.৫৭ মাইক্রোগ্রাম, নিয়াসিন-০.৫০ মাইক্রোগ্রাম, থায়ামিন-০.০৫ , প্যানথানিক এসিড-০.৬৬৭ মাইকোগ্রাম।
ফুলকপিতে গ্যাস হয় কেন : উল্লেখ করার মতো নয়, ফুলকপিতে গ্লুকোসিনোলেটসও থাকে যা সালফারযুক্ত রাসায়নিক। যেহেতু এই রাসায়নিকগুলি অন্ত্রে ভেঙে যায়, তারা অন্যান্য যৌগ তৈরি করে যেমন হাইড্রোজেন সালফাইড-ওরফে, সালফার-গন্ধযুক্ত গ্যাসের পিছনে অপরাধী যা আপনি ফুলকপি খাওয়ার পরে পাস করতে পারেন।
ফুল কপি এর চাষপদ্ধতি :চারা ঠিকমত না বাড়লে পরে প্রতি বীজতলায় প্রায় ১০০ গ্রাম পরিমাণ ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিন। বীজ গজানোর ১০-১২ দিন পর গজানো চারা দ্বিতীয় বীজতলায় স্থানান্তর করুন। চারা রোপণঃ ফুলকপি চাষের জন্য ৩০ দিন বয়সের চারা লাগাতে হয়। সারি থেকে সারির দূরত্ব ২৪ ইঞ্চি এবং সারিতে গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১৮ ইঞ্চি হবে।
ফুলকপি চাষের জমি তৈরি :মূল জমি চাষ দিয়ে বেশ ঝুরঝুরে করে নিতে হয়। গোবর সার, কম্পোস্ট, খৈল, ছাই ইত্যাদি সারের অর্ধেক পরিমাণ ভূমি কর্ষণকালে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হয়। ফুলকপি চাষের জন্য সুনিকাশযুক্ত উর্বর দোয়াশ ও এটেল মাটি সবচেয়ে ভালো। ফুলকপির জন্য ঠাণ্ডা ও আর্দ্র জলবায়ু ভালো ।
ফুলকপির জাত :

এ দেশে এখন ফুলকপির পঞ্চাশটিরও বেশি জাত পাওয়া যায়। ফুল কপি গাছের সারির মাঝে সার দেওয়ার পর সারির মাঝখানের মাটি তুলে দুপাশ থেকে গাছের গোড়ায় টেনে দেওয়া যায়। এতে সেচ ও নিকাশের সুবিধা হয় ।ফুল কপির ফুল সাদা রাখার জন্য কচি অবস্থায় চারদিক থেকে পাতা টেনে বেধে ফুল ঢেকে দিতে হবে,সূর্যের আলো সরাসরি ফুলে পড়লে রং তথা ফুল কপির রং হলুদাভ হয়ে যাবে ।

বীজতলা প্রস্তুতকরণ : ফুলকপির চারা বীজতলায় উৎপাদন করুন। ১×৩ মিটার বীজতলায় সমপরিমাণ বালি, মাটি ও জৈবসার মিশিয়ে ঝুরাঝুরা করে তৈরি করুন। দ্বিতীয় বীজতলায় চারা রোপণের ৭/৮ দিন আগে প্রতি বীজতলায় ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০ গ্রাম টিএসপি/ ডিএপি ও ১০০ গ্রাম এমওপি সার ভালভাবে মিশিয়ে দিন।

Share To:

Leave a Comment