Holi Special Recipe Name-হোলির দিনে স্পেশাল রেসিপি: নমস্কার বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আপনাদের সবাইকে আমার patukrecipe.com এ স্বাগত জানাই।আজ আমি নতুন কিছু Recipe নিয়ে এলাম। Holi Special Recipe এগুলো খুব কম সময়ে দোল উৎসবের সময় ঘরে বানানো যায় সেটা আমি আপনাদেরকে বলবো। এগুলো সম্পূর্ণ নিরামিষ রেসিপি।আপনি যে কোন সময়ে আমার এই রেসিপি গুলো বানিয়ে খেতে পারেন|
প্রথমে আমি আপনাদেরকে দোল উৎসবের সময় সীমা বলবো। তারপর রেসিপির নাম বলবো।
ফাল্গুনের পূর্ণিমায় পালিত , দোল উৎসব শুধু রঙের উৎসবই নয়, আনন্দ ও ভালোবাসার ও প্রতীক। এই উৎসব সাধারণত Holi আগের দিন হোলিকা দহন দিয়ে শুরু হয় এবং ধুলেন্দি পর্যন্ত চলে। এই বছরের হোলি উৎসবের তারিখ হলো।
২০২৩ এর হোলি এবং হোলিকা দহনের সময় সীমা কি?
- হোলিকা দহন (ন্যাড়া পোড়া)- ২১ফাল্গুন (৬ মার্চ)
- দোল উৎসব- ২২ ফাল্গুন (৭ মার্চ)
কোন রাজ্যে কী নামে পরিচিত রঙের এই উৎসব ?
কাশ্মির থেকে কন্যাকুমারী মহাসমারোহে পালিত হয় দোল উৎসব বা হোলি। এ দিন রঙের খেলায় মেতে ওঠে ভারতের প্রায় সব প্রদেশ। লোক সংস্কৃতি আর গল্পকাহিনির মিশেলে আনন্দ করার সেরা দিন বোধহয় এই দিনটাই। দোলের রঙের সঙ্গেই অঞ্চল বিশেষে নাম আলাদা হলেও প্রাণের আনন্দ সবজায়গাতেই এক।
খাড়ি হোলি
উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুনে হোলি উৎসবের নাম খাড়ি হোলি। এখানকার লোকেদের কাছে খাড়ি ছারাও হোলি বৈঠকি হোলি বা মহিলা হোলি নামেও সমধিক পরিচিত। খাড়ি হোলিতে কুমায়ুনিরা পরস্পরের মধ্যে রং আদান প্রদান যেমন করে পাশাপাশি একসঙ্গে নাচ গান করে। আসলে ওদের কাছে এই খাড়ি হোলি হল এক জায়গায় জড়ো হওয়া, মেলামেশা এবং নিজেদের সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে মান্যতা দেওয়া।
খাড়ির বিশেষত্ব হল ছেলেমেয়েরা কুমায়ুনের ঐতিহ্য অনুসারী পোষাক লোক গান গায় আর সেই গানের তালে দল বেঁধে নাচ করে। এছাড়া আছে বৈঠকি হোলি, তাতে এক জায়গায় বসে হয় বৈঠকি গানের আসর। আবার মহিলা হোলি তাতে কেবলমাত্র মহিলারাই অংশগ্রহণ করে।
হোলা মোহল্লা
পশ্চিমবঙ্গের দোল খেলার সঙ্গে পাঞ্জাবের হোলা মোহল্লার ঢের ফারাক। দোল বা হোলি উৎসব উপলক্ষে পাঞ্জাবের হোলা মোহল্লা দু’চোখ মেলে দেখার মতো ব্যাপার। পঞ্জাবের আনন্দপুর সাহিবে হোলির পরের দিন পালন করা হয় হোলা মহল্লা। গুরু গোবিন্দ সিং এই মেলার প্রচলন করেছিলেন। সেই প্রথা মেনে এখনও মেলা বসে। তিনদিন ধরে চলে উত্সব।
শিখরা এই সময় ঘোড়ায় চড়ে নাটকীয় যুদ্ধের মাধ্যমে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে। এটা এক ধরণের মার্শাল আর্ট। গুরুগ্রন্থ সাহিব থেকে কীর্তনও গাওয়া হয়। শেষ দিন তখত কেশগড় সাহিব থেকে বের হয় লম্বা মিছিল। কিলা আনন্দগড়, লোহগড় সাহিব, মাতা জিতোজির মতো শিখদের পাঁচটি ধর্মীয় জায়গা ধরে ওই যায় মিছিল। এইসময় আশেপাশের গ্রামের মানুষদের গমের আটা, চাল, সব্জি, দুধ ও চিনি দেওয়া হয়।
ইয়াওসাং
মণিপুরের হোলির নাম ইয়াওসাং। এই উপলক্ষ্যে বাঁশের ছোটো কুঁড়ে ঘর বানানো হয়। তাতে শ্রীচৈত্যের জন্মদিন পালন করা হয়। পুজো করা হয়। তার পর থাবাল চোংবা মানে একটা আঞ্চলিক লোক নাচ পরিবেশন করা হয়। তারপর শুরু হয় রঙের খলা। ইয়াওসাং পালিত হয় দোল পূর্ণিমা থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় দিন ধরে। দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন- এর প্রতীক হিসেবে এখানে এই ইয়াওসাং হোলি পালিত হয়ে আসছে বহু কাল ধরে।
লাঠমার
ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় হোলি উৎসব হয় বরসনে। বরসন শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান। বরসনে হোলি বা দোল লাঠমার নামেই পরিচিত এবং প্রচলিত। লাঠ মানে লাঠি। যেটা হোলির সারা দিনই রঙের সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের হাতে থাকে। ভাবছেন তো দোল খেলতে লাঠি আবার কী হয় ?
আসলে এখানকার একটা প্রথা অনুযায়ী মহিলারা লাঠি নিয়ে পুরুষদের তাড়া করে। তা বলে এমন ভাববেন না যে লাঠি পেটা করা হয়। এটা একটা প্রথা মাত্র। মহিলারা শ্রীকৃষ্ণের পৌরানিক গোপিনীদের মতো সাজেন আর পুরুষরাও সেই মতোই বেশভূষা পড়েন। এখানকার রাধারাণি মন্দির থেকে খেলা শুরু হয়। উত্তরপ্রদেশের বরসনা, বৃন্দাবন, মথুরা, নন্দগ্রামে এই রীতি মেনেই হোলি খেলা হয়ে আসছে এখনও।
নন্দগাঁওয়ের ছেলেরা বরসনের মেয়েদের সঙ্গে হোলি খেলতে আসে। মেয়েরা রঙের বদলে লাঠি নিয়ে অভ্যর্থনা জানায় তাদের। পরের দিনটা থাকে ছেলেদের জন্য। এদিন বরসনের ছেলেরা রঙ মাখাতে যায় নন্দগাঁওয়ের মেয়েদের। একইভাবে নন্দগাঁওয়ের মেয়েরাও বরসনের ছেলেদের লাঠি নিয়ে তাড়া করে।
রাজকীয় হোলি
রাজস্থানের রয়্যাল হোলিতে বসন্তের প্রাণোচ্ছ্বলতা প্রকাশিত হয় একেবারে রাজকীয় ঢঙে। চন্দ্রের পূর্ণরূপে আত্মপ্রকাশের দিন মরুদেশে সকলে মিলে একত্রিত হন রঙিন হয়ে ওঠার আকাঙ্ক্ষায়। বনফায়ার করে সূচনা করা হয় হোলির। তারপর জল আর আবির দিয়ে একে অপরকে রঙ মাখানোর আনন্দে মেতে ওঠেন সকলে। উদয়পুরে বিশাল বড়ো শোভাযাত্রা করা হয়। শোভাযাত্রা শেষ হলে তার পর হোলিকা দহন করা হয়। তার পর রঙের খেলা।
ফাকুওয়া
আসমে হোলির নাম ফাকুওয়া। এখানের হোলি পশ্চিমবঙ্গের হোলির মতোই পালন করা হয়। আগের দিন হোলিকা পোড়ানো হয়। পরের দিন রঙের উৎসব। ফাগুয়া – বিহারের ফাগুরার কথা অনেকেই জানি। এখানেও ব্রজধামে রাধাকৃষ্ণের প্রেম ভালোবাসার কথা মনে করেই হোলি খেলা হয়। রং খেলার পর গাওয়া হয় আঞ্চলিক গান। ফাল্গুন মাসে হয় বলে ফাগুয়া নামে পরিচিত। ফাগুয়া একটা ভোজপুরি শব্দ।
রং পঞ্চমী
সিগমো
মাঞ্জাল কুলি
দুলন্দি
রঙ্গপঞ্চমী
বেশিরভাগ মানুষই হোলি উৎসবের কয়েকদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। সর্বোপরি, আড়ম্বর এবং প্রদর্শনের পাশাপাশি উৎসব গুলিতে খাবারের আধিক্য রয়েছে।
হোলিতে বিশেষভাবে তৈরী কিছু মিষ্টি।
Holi Special Recipe Name কি ?
- আটার শাহী মালপোয়া
- জিলিপি
- বিটের হালুয়া
- ডবল কালার সুজির হালুয়া
- বালু শাহি
- মালাই চমচম
- পেস্তা বরফি
- কেশরি সন্দেশ বা জাফরানী সন্দেশ
আটার শাহী মালপোয় : মালপোয়া হলো এমন একটি মিষ্টি যা যে কোন উৎসবের শোভা বাড়িয়ে দেয়। আটার মালপোয়া স্বাস্থ্যকর ও বটে।
জিলিপি : জিলিপি যেমন রসালো তেমনই মুচমুচে। তবে বানানো খুব সহজ । তাই দোলের দিন জিলিপি এক প্লেট হলে খুব ভালো হয় ।
বিটের হালুয়া : বিটের হালুয়া খুব সুস্বাদু । যদি কখনও না খেয়ে থাকেন এইবার দোলের দিন নিশ্চয়ই খেয়ে দেখবেন। একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে।
ডবল কালার সুজির হালুয়া : ডবল কালার সুজির হালুয়া খেতে দারুণ। আর যদি উৎসবে সুজিতেও একটু অন্যধরনের কালার মিশিয়ে দেওয়া যায় তো আরও ভালো।
বালুশাহী : বালুশাহী হলির খুব জনপ্রিয় মিষ্টি। এবারে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন বালু শাহি মিষ্টি।
মালাই চম চম – মালাই চমচম ছাড়া হোলি একেবারেই অসম্পূর্ণ। এবারে হলির মিষ্টির তালিকায় মালাই চমচম রাখতে মোটেই ভোলা যাবে না।
পেস্তা বরফি : পেস্তা বরফি ছাড়া হোলি অসম্পূর্ণ। ভাঙের শরবতের সঙ্গে পেস্তা বরফির যে মিল তা একেবারেই স্বর্গীয় ।
কেশরি সন্দেশ বা জাফরানী সন্দেশ : কেশরি সন্দেশ বা জাফরানী সন্দেশ হোলির মিষ্টির তালিকায় যদি থাকে তাহলে আগে থেকেই বুঝে নেবেন এবারে আপনার হোলি একদম হিট।
যদি আমার আজকের এই recipe গুলো আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার পরিবার এবং বন্ধু বান্ধবী দের সাথে নিশ্চয় শেয়ার করুন।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবার নতুন একটা রান্না নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি আসছি ধন্যবাদ।
Read More: To know latest info about all Sarkari Yojana and Scheme visit our Website
অন্য পোস্ট পড়েন :
FAQ on Holi Special Recipe Name
Q1. ২০২৩ হোলি এবং হোলিকা দহনের সময় সীমা কি?
Ans. হোলিকা দহন – ২১ফাল্গুন (৬ মার্চ),দোল উৎসব- ২২ ফাল্গুন (৭ মার্চ) |
Q2. হোলি তে কি কি মিষ্টি বানানো রেয়াজ দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত?
Ans. আটার শাহী মালপোয়া, জিলিপি, বিটের হালুয় ,ডাবল কালার সুজির হালুয়া, বালু শাহি, মালাই চমচম, পেস্তা বরফি, কেশরি সন্দেশ বা জাফরানী সন্দেশ।
Q3. Holi Special Recipe Name কি কি?
Ans. আটার শাহী মালপোয়া, জিলিপি, বিটের হালুয় ,ডাবল কালার সুজির হালুয়া, বালু শাহি, মালাই চমচম, পেস্তা বরফি, কেশরি সন্দেশ বা জাফরানী সন্দেশ।