বাঁধাকপির তরকারি রেসিপি | Bandhakopir Tarkari Recipe in Bengali

Bandhakopir Tarkari Recipe :নমস্কার বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আপনাদের সবাইকে আমার patukrecipe.com  এ স্বাগত জানাই। আজ আমি নতুন একটা  Recipe নিয়ে এলাম।  খুব সহজ পদ্ধতিতে খুব কম সময়ে ঘরে এই  Recipe বানানো যায়  সেটা আমি আপনাদেরকে বলবো | আজকে আপনাদের জন্য থাকলো সুস্বাদু Bandhakopir Tarkari Recipe |

Bandhakopir Tarkari Recipe

Bandhakopir Tarkari Recipe বানাতে কি কি উপকরণ লাগবে?

উপকরণ

  •  আলু – ২ টি (বড়ো সাইজের)
  •  মটর শুঁটি  – ১০-১৫ টি
  • বাঁধাকপি – ১ টি
  •  নুন – স্বাদমতো
  •  চিনি – ১ চামচ
  •  লেবুর রস – ১ টেবিল চামচ
  • চিনি – ১ টেবিল চামচ
  •  হলুদ গুঁড়ো – ১ চামচ
  •  আদা বাটা – ১টেবিল চামচ
  • পেঁয়াজ কুচি – ১ টেবিল চামচ
  •  গরম মশলা গুঁড়ো – ১ চামচ
  •  ঘি – ১ চা চামচ
  • কাঁচা লঙ্কা – ২-৩ টে
  • ১ চা চামচ জিরা গুঁড়া – ১ চামচ
  • ২ টি গাজর – ২ টে
  • পেঁয়াজ – ১ টা

Also Read: টক মিষ্টি আমের আচার রেসিপি

Bandhakopir Tarkari Recipe বানানোর বিধি কি কি?

ধাপ ১

  প্রথমে বাঁধাকপি কুচি করে কেটে রাখুন। মটরশুঁটি ছাড়িয়ে নিন।

ধাপ ২

এবারে আলু ও গাজর ডুমো করে কেটে ভেজে নিন। তার মধ্যে বাঁধাকপি কুচি দিয়ে নুন ও হলুদ গুঁড়ো দিয়ে কষিয়ে নিন।

ধাপ ৩

পিয়াজ কুচি ও অনান্য মশলা মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে নেড়ে দিন।

ধাপ ৪

বাঁধাকপি থেকে যে জল বেরোবে তাতেই রান্না হবে। সব সবজি ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে গেলে ঘি, চেরা কাঁচা লঙ্কা, চিনি ও গরম মশলা মিশিয়ে শুকনো করে নামিয়ে নিন

ধাপ ৫

বাঁধাকপির তরকারি একদম রেডি। এবারে গরম গরম পরিবেশন করুন।

আমার এই  Bandhakopir Tarkari Recipe   ভালো লাগে তবে আপনার পরিবার এবং আপনার বন্ধু বান্ধবী দের সাথে নিশ্চয় শেয়ার করুন।

Also Read: How to Make a Pie Chart in Google Sheets: A Step-by-Step Guide

বাঁধাকপিতের উপকারীতা :  বাধাকপিতে রয়েছে ভুরপুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস কোষকে সজীব রাখে, কোষের প্রদাহ দূর করে, ফোলা কমায়; যা ক্যানসার, হার্টের অসুখ, ডায়বেটিস ও আলঝেইমার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে বলে মনে করা হয়। এর ফাইবার হজমে সহায়তা করার পাশাপাশি মন্দ কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

বাঁধাকপির অপকারিতা :  পেটব্যথা এবং অন্ত্রের আলসার কমাতে সাহায্য করে। কাদের খাওয়া বারণ: তবে বাঁধাকপি পরিপাকে অসুবিধা হলে গ্যাসট্রাইটিস বেড়ে যায়। বাঁধাকপির কারণে পেটফাঁপাভাব হতে পারে। বাঁধাকপি, ব্রকলির মতো ক্রুসিফেরাস সবজি পেটে গ্যাসের সৃষ্টি করতে পারে।

মাটির টবে বাধাকপি চাষ : মাটির টবেই এই বাঁধাকপি চাষ ভালো ভাবে করা যায়। বাজার থেকে ছোট চারাগাছ বা বীজ থেকে গাছ ফলিয়ে পরে টবে বসানো যায়। তার সাথেই দরকার হয় এই গাছের জন্য উপযুক্ত মাটির।সাধারণ মাটি ও সাদা বালি মেশাতে হবে ৬০% এবং তার সাথে নিতে হবে ভারমি কম্পোস্ট সার অথবা গোবর সার। প্রথম বার মাটি তৈরী করার সময় একটু বেশি সার দিতে হবে। টবে বাঁধাকপি গাছ গুলি বেশ ছড়িয়ে যায় যার ফলে আর পরে কোনো জৈব সার প্রয়োগ করা যায় না গাছের গোড়ায়।

টবে বা গামলায় মাটি ভরে সামান্য গর্ত করে চারাগাছ বা বীজ বসিয়ে বেশ ভালো করে জল দিয়ে দিতে হবে। প্রথম থেকেই এই গাছ সম্পূর্ণ সূর্যের আলোয় রাখতে হবে। পোকা-মাকড় দূরে রাখার জন্য ১৫ দিন পর পর গাছে নিম তেল দেওয়া যেতে পারে।সর্ষের খোল সাত দিন রেখে জলের সাথে মিশিয়ে গাছের মাটিতে দেওয়া যাবে যদি গাছ গুলি বাড়তে খুবই সময় নেয়। তবে প্রতিদিন নিয়ম মেনে স্প্রে করে জল দিয়ে যেতে হবে এই গাছের গোড়ায়। ১০০-১২০ দিন সময় লাগে বাঁধাকপি গাছ থেকে তুলে খাওয়ার জন্য। তবে খেলেই বুঝতে পারবেন, বাড়িতে জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা বাঁধাকপির স্বাদ বাজারের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ও দারুন সুস্বাদু।

পুষ্টি গুন :  বাঁধাকপি পুষ্টিকর পাতা জাতীয় সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি রয়েছে। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য বাঁধাকপি বেশ উপকারী। যাদের দেহে চর্বি বেশি তারা বাঁধাকপি খেয়ে উপকার পেতে পারেন।

চাষের সময় :বাঁধাকপি একটি শীতকালীন সবজি। শীতকালেই বাঁধাকপি ভালো জন্মে থাকে। বর্তমানে গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে ও বাঁধাকপি চাষ করা হয়।

চাষের মাটি : সব ধরণের মাটিতেই বাuধা কপি চাষ করা যায়। সব থেকে বেশি ভালো হয় দোআঁশ বা পলি দোআঁশ মাটি। অত্যধিক বেলে মাটি ছাড়া ও অধিক অম্লীয় বা লাল মাটিতে বাঁধাকপি ভালো জন্মে না।

বীজের পরিমাণ :বাঁধাকপির জাত ভেদে প্রতি শতকে ২-৩ গ্রাম বীজ প্রয়োজন হয়, এবং হেক্টর প্রতি ৫০০-৭০০ গ্রাম বীজ প্রয়োজন হয়ে থাকে।

চারা উৎপাদন পদ্ধতি : বাধা কপির চারা প্রথমে বীজতলায় উৎপাদন করতে হয় এবং পরবর্তীতে সময়ে জমিতে লাগানো হয়। বীজতলার জন্য বালি, মাটি ও জৈব সার ভালো ভাবে মিশিয়ে ঝুরঝুরা করে নিয়ে বীজতলা তৈরি করতে হয়। বীজতলার আকার ১ মিটার পাশে ও লম্বায় ৩ মিটার হওয়া উচিত।

জমি তৈরী : বাঁধাকপি চাষ পদ্ধতি এর জন্য প্রধান কাজ হলো জমি তৈরি করা।

২. জমি তৈরির জন্য গভীর ভাবে ৪-৫ টি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে তৈরি করতে হবে।

শেষ চাষের সাথে জমিতে প্রয়োজনীয় সার সমান ভাবে ছিটিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।

৪. জমি তৈরি হয়ে গেলে মাটি থেকে ১৫-২০ সেমি উঁচু ও এক মিটার চওড়া করে বেড তৈরি করে নিতে হবে।

৫. বেড থেকে বেডের মাঝখানের দূরত্ব কমপক্ষে ৩০ সেমি রাখতে হবে এবং বেডের মাঝে নালা রাখতে হবে।

চারা রোপণ পদ্ধতি : বীজ বপনের পর চারার বয়স ৩০-৩৫ দিন হলে বা ৫/৬ টি পাতা বিশিষ্ট ১০-১৫ সেমি লম্বা সুস্থ ও সবল চারা মূল জমিতে রোপন করতে হবে।

২.রোপণের জন্য সারি থেকে সারির দূরত্ব ৬০ সেমি ও প্রতি সারিতে চারা থেকে চারার দূরত্ব ৪৫ সেমি দিলে ভালো হয়।

প্রতি শতকে ১৫০ টির মত বাঁধাকপির চারার প্রয়োজন হয়।

৪. চারা বিকেল বেলাতে জমিতে রোপণ করতে হয়।

সার প্রয়োগ পদ্ধতি : ভালো ফলন পেতে জমিতে সারের বিকল্প নেই। জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুনাগুন যেমন বজায় থাকে তেমনি পরিবেশ ভালো থাকে। জমিতে ভালো ফলন পেতে হলে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করা উচিত।

বাঁধাকপির জন্য প্রতি শতকে প্রতি ১২৫ কেজি গোবর সার, ইউরিয়া ১ কেজি, টিএসপি ৮০০ গ্রাম, এমওপি ৬৫০ গ্রাম সার দিতে হবে। জমি তৈরির সময় সম্পূর্ণ গোবর ও টিএসপি সার প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া ও এমওপি সার ২ কিস্তিতে চারা রোপনের ২০-২৫ দিন পর একবার এবং ৩০-৪০ দিন পর আর একবার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।

সেচ দেওয়া : সার দেয়ার পর পরই জমিতে সেচ দিতে হবে। এ ছাড়া ২-৩ দিন পর পরই সেচ দিতে হবে। জমিতে জলের অভাব দেখা দিলে সহজে ও দ্রুত সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সেচ দেওয়ার সুবিধার জন্য গাছ বড় হবার সাথে সাথে দুই সারির মাঝ খানে নালা তৈরি করে দিতে হবে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে জমিতে জল বেশি জমে গেলে নালা দিয়ে জল সরানোর ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

অন্যান্য পরিচচা :  বাঁধাকপির গাছের সারির মাঝে সার দেয়ার পর সারির মাঝখানের মাটি তুলে দুপাশ থেকে গাছের গোড়ায় টেনে দিতে হবে।

আগাছা : জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষন করতে হবে। সেচ ও সার দেয়ার পর জো আসা মাত্র নিড়িয়ে দিতে হবে। গাছ খুব ঘন থাকলে পাতলা করে দিতে হবে। চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর আগাছা দমন করতে হবে। 

পোকা মাকড় ও রোগ ব্যবস্থা :  ধাকপির রোগ বালাই  ও পোকা মাকড়ের মধ্যে সব চাইতে ক্ষতিকর পোকা হলো মাথা খেকো লেদা পোকা। বীজ উৎপাদনের জন্য চাষ করলে জাব পোকা থেকে সাবধান থাকতে হবে। অন্যান্য পোকার মধ্যে ক্রসোডেলমিয়া লেদা পোকা, বিছা পোকা, ঘোড়া পোকা ইত্যাদি মাঝে মাঝে ক্ষতি করে থাকে।

বাঁধাকপির রোগের মধ্যে পাতায় দাগ ও কালো পচা রোগ প্রধান সমস্যা। এছাড়া চারা ঢলে পড়া বা ড্যাম্পিং অফ, মাথা পচা বা গ্রে মোল্ড, ক্লাব রুট বা গদাই মূল, মোজাইক, পাতার আগা পোড়া ইত্যাদি রোগ ও হয়ে থাকে।

ফল  সংগ্রহ ও ফলন : জমিতে চারা রোপণের ৬০-৯০ দিনের মধ্যে বাঁধাকপি সংগ্রহ করা যায়। প্রতিটি বাঁধাকপি গড়ে ২.৫ কেজি ওজন হয়ে থাকে। প্রতি শতকে ১৫০-১৮০ কেজি, হেক্টরে ৭৫-৮০ টন ফলন হয়ে থাকে।

আজ আমরা বাঁধাকপি  চাষ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আগামীতে আপনাদের সাথে বাঁধাকপি  চাষ নিয়ে আরো কিছু আলোচনা করবো, তাই আমাদের পেজে নিয়মিত চোখ রাখুন। এই লেখাটি অনেকের কাজে লাগতে পারে তাই লেখাটি যতটুকু সম্ভব শেয়ার করুন। যাতে করে এই লেখা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাঁধাকপি  চাষ করে অনেকেই আয় করার ব্যবস্থা করতে পারে।

FAQs on Bandhakopir Tarkari Recipe

Q1. Bandhakopir Tarkari Recipe ঘরে বানাতে কি কি উপকরণ লাগে?

Ans.আলু , মটর শুঁটি  , বাঁধাকপি , নুন  , চিনি ,  লেবুর রস , চিনি ,  হলুদ গুঁড়ো,  আদা বাটা , পেঁয়াজ কুচি ,  গরম মশলা গুঁড়ো , ঘি , কাঁচা লঙ্কা ,    জিরা গুঁড়া, ২ টি গাজর, পেঁয়াজ |

Share To:

Leave a Comment