চিড়া ভাজা রেসিপি | Chira Bhaja Recipe in Bengali

Chira Bhaja Recipe : নমস্কার বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আপনাদের সবাইকে আমার patukrecipe.com  এ স্বাগত জানাই। আজ আমি নতুন একটা  Recipe নিয়ে এলাম।  খুব সহজ পদ্ধতিতে খুব কম সময়ে ঘরে  Chira Bhaja Recipe  বানানো যায়  সেটা আমি আপনাদেরকে বলবো।এটা সম্পূর্ণ নিরামিষ।আপনারা এটাতে পিয়াজ ব্যবহার করতে পারেন। আমি কিন্তু পিয়াজ ছাড়াই বানিয়েছি।আপনি যে কোন সময়ে আমার এই রেসিপি বানিয়ে খেতে পারেন |
Chira Bhaja Recipe in Bengali

Chira Bhaja Recipe বানাতে কি কি লাগে?

উপকরণ : 

  • চিড়া  – 200 গ্রাম (2 কাপ)
  • চিনাবাদাম – 200 গ্রাম (1 কাপ)
  • নারিকেল- 2-3 ইঞ্চি লম্বা টুকরো(পাতলা টুকরো করে কাটা)
  • লবণ – স্বাদ অনুযায়ী (1/2 চা চামচ)
  • গুল মরিচ -১/২ টেবিল চামচ
  •  চাট মসলা – ১/২ চা চামচ
  • তেল – 100 গ্রাম (1/2 কাপ
  • কারি পাতা – ৬-৭ টি
  • কাচা লঙ্কা – ৩-৪ টি (অপশোনেল)
চিড়া গুলো কে ভালো ভাবে জল দিয়ে ধুয়ে জল শুকিয়ে নিতে হবে।
এবারে আমি ধাপে ধাপে বলবো যে কিভাবে চিড়া ভাজা রেসিপি বানাতে হয়।

Chira Bhaja Recipe রেসিপি বানানোর বিধি কি?

ধাপ -1

প্রথমে কড়াইতে তেল গরম করে বাদাম, নারকেল ভেজে নিতে হবে.

ধাপ- 2

তারপর ওই কড়াইতে আরে একটু তেল গরম করে কাঁচা লঙ্কা কুচি ,কারিপাতা দিয়ে নেড়ে , একে একে বাদাম, নারকেল, লঙ্কা, নুন সব দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে তার মধ্যে আগে থেকে ধুয়ে রাখা  Chira দিয়ে দিতে হবে।

ধাপ -৩

এবারে চিরা গুলো কে মশলার সাথে ভালো ভাবে মিক্সড করে নিতে হবে। মিক্সড হয়ে যাওয়ার পর  ৫-৬ মিনিট ভেজে নিতে হবে। ৫-৬ ভাজার পর রেডি  আমাদের চিড়ে ভাজা রেসিপি , এবারে এটাকে চায়ের সাথে পরিবেশন করুন।

chira ভাজা ঠাণ্ডা হওয়ার পর, যেকোনো এয়ার টাইট পাত্রে সংরক্ষণ করুন এবং 2 মাসের জন্য যখনই চান তখনই খেতে পারেন নষ্ট হবে না।

যদি আমার আজকের এই recipe গুলো আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার পরিবার এবং বন্ধু বান্ধবী দের সাথে নিশ্চয় শেয়ার করুন।

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবার নতুন একটা রান্না নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি আসছি ধন্যবাদ।

Read More:  To know latest info about all Sarkari Yojana and Scheme visit our Website

অন্য পোস্ট পড়েন :

FAQ on Chira Bhaja Recipe

Q1. আজ কলকাতা শহরে Chira কিলো কত?

Ans.১ কেজি –  ৯০ টাকা, ৫০০ গ্রাম -৪৫ টাকা, ২৫০  গ্রাম – ২২.৫ টাকা।

Q2. Chira Bhaja Recipe বানাতে কি কি লাগে?

Ans.চিড়া  , চিনাবাদাম ,নারিকেল, লবণ ,গুল মরিচ ,  চাট মসলা , তেল , কারি পাতা , কাচা লঙ্কা |

Q3. চিড়া দিয়ে কি কি রেসিপি বানানো যায়?

Ans. চিড়ার পোলাও, চিড়ের লাড্ডু, চিড়ার পায়েস, চিড়ার চপ, চিড়ার কাটলেট,রোস্টেট  চিড়া, মশলা মাখা চিড়া, চিড়ার মোয়া, নারকেল দিয়ে চিড়ার লাড্ডু, চিড়া ভাজা ইত্যাদি।

Q4. চিড়া কি দিয়ে তৈরি হয়?

Ans. ধান থেকে চিড়া তৈরী করা হয়। ভালো স্বাদের চিড়া পেতে হলে নির্দিষ্ট জাতের ধান নির্বাচন করতে হয়। চিড়া শুকনো বা ভেজা অবস্থায় খাওয়া যায়। পানি, দুধ এবং অন্যান্য তরল জাতীয় পদার্থ খুব সহজে চিড়া শুষে নিতে পারে।

Q5. ধান থেকে চিড়া কি ভাবে তৈরি হয়?

Ans.

  1. চিড়ার উপযোগী ধান নির্বাচন করতে হবে।এক্ষেত্রে পূর্বে স্থানীয় জাত শালী ধান ব্যবহার করা হত।এখন অনেক ভাল জাত পাওয়া যাচ্ছে।
  2. একটি বড় পাত্রে ডুবন্ত পানিতে ধান ভিজিয়ে রাখতে হবে।
  3. পরদিন সকালে ধানগুলো সেদ্ধ করতে হবে। দুএকটি ধান ফেটে গেলে বুঝতে হবে সেদ্ধ হয়েছে
  4. ধানগুলো বেতের ধামায় রেখে পানি ঝরাতে হবে।
  5. এবার এই ধানগুলো রোদে না শুকিয়েই চিড়া বানানোর প্রস্ত্ততি নিতে হবে।
  6. মাটি বা লোহার তৈরি কড়াই-এ ধান বালি ছাড়াই ক্রমাগত নেড়ে ভাজতে হবে।
  7. দু’একটি ধান ফুটতে থাকলে কড়াই থেকে নামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঢেঁকিতে কুটতে হবে। সব ধান থেকে চাল বের হয়ে ভালোভাবে চেপ্টা না হওয়া পর্যন্ত কুটতে হবে এবং মাঝে মাঝে হাতে তুলে পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
  8. কোটা শেষ হলে কুলায় ঝেড়ে তুষ ও কুড়া আলাদা করে নিতে হবে।
  9. চিড়া ভাজতে একজন আর ঢেঁকিতে পাড় দিতে আরো ২ জন লোক দরকার হয়।

Q6. চিড়ার উপকারিতা কি কি?

Ans.  ১)  চিড়ায় আঁশের পরিমাণ অনেক কম থাকে যা ডায়রিয়া, ক্রন’স ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, অন্ত্রের প্রদাহ এবং ডাইভারটিকুলাইসিস রোগ প্রতিরোধে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক। ২) চিড়ায় পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকার জন্য কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক।

Q7. প্রতিদিন চিড়া খেলে কি কি উপকার হয়?

Ans.  ১) চিড়ায় আঁশের পরিমাণ অনেক কম থাকে যা ডায়রিয়া, ক্রন’স ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, অন্ত্রের প্রদাহ এবং ডাইভারটিকুলাইসিস রোগ প্রতিরোধে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক।

২) চিড়ায় পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকার জন্য কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক।

৩) সিলিয়াক ডিডিজের রোগীদের জন্য চিড়া খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। চালের প্রোটিন প্রোলামিন এবং গ্লুটেলিনের শোষণে কোন সমস্যা না থাকার জন্য এই রোগীদের জন্য চিড়া গ্রহণ করা নিরাপদ।

Q7. চিড়ার অপকারিতা কি?

Ans.  চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক থাকলেও বেশি শর্করা এবং উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক সমৃদ্ধ খাবার বেশি গ্রহণে সিরাম ট্রাইগ্লিসারাইডের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে যা কার্ডিওভাসকুলার ডিডিজের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

চিড়া খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না। গরমে, নাশতায়, বিকেলের খাবারে বিভিন্ন ভাবে রান্না করে, দই এর সঙ্গে, আমের সাথে কত কি উপায়ে চিড়া খাওয়া যায় তার ইয়ত্তা নেই! তবে উপরে উল্লিখিত কয়েকটি ক্ষেত্রে চিড়া খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনা চাই।

Share To:

Leave a Comment