Chirer Pulao Recipe :নমস্কার বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আপনাদের সবাইকে আমার patukrecipe.com এ স্বাগত জানাই। আজ আমি নতুন একটা Recipe নিয়ে এলাম। খুব সহজ পদ্ধতিতে খুব কম সময়ে ঘরে Chirer pulao recipe বানানো যায় সেটা আমি আপনাদেরকে বলবো | বাঙালির রান্নাঘরে চিঁড়ের পোলাও ব্যাস একটি জনপ্রিয় খাবার | সকালের জল খাওয়ার হোক বা বিকেলের টিফিন চিড়ের পোলাও যেকোনো সময় খাওয়া যেতে পারে | তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক চিঁড়ের পোলাও রেসিপি |
Chirer Pulao Recipe বানাতে কি কি লাগে?
উপকরণ :
- চিঁড়ে -২৫০ গ্রাম
- ঘি – ২ টেবিল চামচ
- তেজপাতা – ২-৩ টে
- নুন -স্বাদমতো
- চিনি – স্বাদমতো
- কাচা বাদাম – ৫০ গ্রাম
- এলাচ -৪ টে
- প্রয়োজন মতো সাদা তেল
- সিমলা মরিচ – ১ টা কুচি করে কেটে
- বিনস – কুচি করে কেটে (১-২টো )
- গাজর – ১ টি কুচি করে কেটে
- লবঙ্গ – ৩ টে
- দারচিনি – ২ টি
- কিসমিস – ১৫-২০ টে (জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে)
- গোল মরিচ গুঁড়ো – ১ টেবিল চামচ
Read Also: What is Constructor in Java programming in hindi
Chirer Pulao Recipe বানানোর বিধি কি?
ধাপ- ১
প্রথমে চিরেটাকে জল দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিতে হবে।
ধাপ -২
এবারে সবজিগুলিকে ছোট ছোট করে কেটে অল্প নুন এবং সাদা তেল দিয়ে হাল্কা ভেজে নিন । তারপর বাদামগুলো ও ভেজে নিতে হবে।
ধাপ- ৩
এবারে গ্যাস অন করে কড়াই বসিয়ে দিয়ে ঘি গরম করে তাতে তেজপাতা , গোটা মসলা এবং কিসমিস গুলো দিয়ে হালকা ভেজে নিন। এগুলি হালকা ভাজা হয়ে যাওয়ার পর তাতে আগে থেকে ভেজে রাখা সবজিগুলো দিয়ে মিক্সড করে নিতে হবে। এগুলি ভালোভাবে মিক্সড হয়ে যাওয়ার পর তার মধ্যে চিরে গুলো সব দিয়ে দিন। চিরে গুলো ভালোভাবে মিক্সড হয়ে যাওয়ার পর স্বাদ মতন নুন ও চিনি দিয়ে দিন ।
ধাপ- ৪
সব ভালো পাবে মিক্সড হয়ে যাওয়ার পর অবশেষে অল্প গোল মরিচের গুঁড়ো উপর থেকে ছড়িয়ে অল্প নেড়ে চেড়ে নামিয়ে নিন। এবারে রেডি হয়ে গেল চিড়ের পোলাও রেসিপি।
যদি আমার আজকের এই Chirer Pulao Recipe আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার পরিবার এবং বন্ধু বান্ধবী দের সাথে নিশ্চয় শেয়ার করুন।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবার নতুন একটা রান্না নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি আসছি, ধন্যবাদ ।
Read Related Post:
FAQ on Chirer Pulao Recipe
Q1. Chirer Pulao recipe বানাতে কি কি লাগে?
Ans.চিঁড়ে , ঘি , তেজপাতা , নুন, চিনি , কাচা বাদাম , এলাচ , সাদা তেল, সিমলা মরিচ, বিনস , গাজর , লবঙ্গ ,দারচিনি , কিসমিস , গোল মরিচ গুঁড়ো |
Q2. Chirer Pulao ছাড়া আর কি ধরনের পোলাও রান্ন হয় ?
Ans. পোলাও বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন ভেজ পোলাও মাটন পোলাও চিংড়ি দিয়ে পোলাও ইত্যাদি।
Q3. আজ কলকাতা শহরে Chira কিলো কত?
Ans.১ কেজি – ৯০ টাকা, ৫০০ গ্রাম -৪৫ টাকা, ২৫০ গ্রাম – ২২.৫ টাকা।
Q4. Chira Bhaja Recipe বানাতে কি কি লাগে?
Ans.চিড়া , চিনাবাদাম ,নারিকেল, লবণ ,গুল মরিচ , চাট মসলা , তেল , কারি পাতা , কাচা লঙ্কা |
Q5. চিড়া দিয়ে কি কি রেসিপি বানানো যায়?
Ans. চিড়ার পোলাও, চিড়ের লাড্ডু, চিড়ার পায়েস, চিড়ার চপ, চিড়ার কাটলেট,রোস্টেট চিড়া, মশলা মাখা চিড়া, চিড়ার মোয়া, নারকেল দিয়ে চিড়ার লাড্ডু, চিড়া ভাজা ইত্যাদি।
Q6. চিড়া কি দিয়ে তৈরি হয়?
Ans. ধান থেকে চিড়া তৈরী করা হয়। ভালো স্বাদের চিড়া পেতে হলে নির্দিষ্ট জাতের ধান নির্বাচন করতে হয়। চিড়া শুকনো বা ভেজা অবস্থায় খাওয়া যায়। পানি, দুধ এবং অন্যান্য তরল জাতীয় পদার্থ খুব সহজে চিড়া শুষে নিতে পারে।
Q7. ধান থেকে চিড়া কি ভাবে তৈরি হয়?
Ans.
- চিড়ার উপযোগী ধান নির্বাচন করতে হবে।এক্ষেত্রে পূর্বে স্থানীয় জাত শালী ধান ব্যবহার করা হত।এখন অনেক ভাল জাত পাওয়া যাচ্ছে।
- একটি বড় পাত্রে ডুবন্ত পানিতে ধান ভিজিয়ে রাখতে হবে।
- পরদিন সকালে ধানগুলো সেদ্ধ করতে হবে। দুএকটি ধান ফেটে গেলে বুঝতে হবে সেদ্ধ হয়েছে
- ধানগুলো বেতের ধামায় রেখে পানি ঝরাতে হবে।
- এবার এই ধানগুলো রোদে না শুকিয়েই চিড়া বানানোর প্রস্ত্ততি নিতে হবে।
- মাটি বা লোহার তৈরি কড়াই-এ ধান বালি ছাড়াই ক্রমাগত নেড়ে ভাজতে হবে।
- দু’একটি ধান ফুটতে থাকলে কড়াই থেকে নামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঢেঁকিতে কুটতে হবে। সব ধান থেকে চাল বের হয়ে ভালোভাবে চেপ্টা না হওয়া পর্যন্ত কুটতে হবে এবং মাঝে মাঝে হাতে তুলে পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
- কোটা শেষ হলে কুলায় ঝেড়ে তুষ ও কুড়া আলাদা করে নিতে হবে।
- চিড়া ভাজতে একজন আর ঢেঁকিতে পাড় দিতে আরো ২ জন লোক দরকার হয়।
Q8. চিড়ার উপকারিতা কি কি?
Ans. ১) চিড়ায় আঁশের পরিমাণ অনেক কম থাকে যা ডায়রিয়া, ক্রন’স ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, অন্ত্রের প্রদাহ এবং ডাইভারটিকুলাইসিস রোগ প্রতিরোধে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক। ২) চিড়ায় পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকার জন্য কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
Q9. প্রতিদিন চিড়া খেলে কি কি উপকার হয়?
Ans. ১) চিড়ায় আঁশের পরিমাণ অনেক কম থাকে যা ডায়রিয়া, ক্রন’স ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, অন্ত্রের প্রদাহ এবং ডাইভারটিকুলাইসিস রোগ প্রতিরোধে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
২) চিড়ায় পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকার জন্য কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
৩) সিলিয়াক ডিডিজের রোগীদের জন্য চিড়া খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। চালের প্রোটিন প্রোলামিন এবং গ্লুটেলিনের শোষণে কোন সমস্যা না থাকার জন্য এই রোগীদের জন্য চিড়া গ্রহণ করা নিরাপদ।
Q10. চিড়ার অপকারিতা কি?
Ans. চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক থাকলেও বেশি শর্করা এবং উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক সমৃদ্ধ খাবার বেশি গ্রহণে সিরাম ট্রাইগ্লিসারাইডের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে যা কার্ডিওভাসকুলার ডিডিজের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
চিড়া খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না। গরমে, নাশতায়, বিকেলের খাবারে বিভিন্ন ভাবে রান্না করে, দই এর সঙ্গে, আমের সাথে কত কি উপায়ে চিড়া খাওয়া যায় তার ইয়ত্তা নেই! তবে উপরে উল্লিখিত কয়েকটি ক্ষেত্রে চিড়া খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনা চাই।